পবিত্র ঈদ-উল আযহা মুসলমান জাতির ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বড় একটি ধর্মীয় উৎসব। এই ঈদে আল্লাহর নামে হাজার হাজার গরু- ছাগল, ভেড়া, মহিষ কোরবানি করেন স্বাবলম্বী ধর্মীয় প্রাণ মুসলমান ব্যক্তিবর্গ।
কোরবানি ঈদ উপলক্ষ্যে কামার পল্লীগুলোতে চাকু, ছুড়ি, চাপতি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগবৃন্দ। পাবনার হাজির হাট, পুষ্পপাড়া হাটসহ কয়েকটি হাটে দেখা যায় বিশাল বড় দোকান বসেছে চাকু, ছুড়ি, চাপাতিসহ পশুর জবাই ও মাংস কাটার যন্ত্রপাতি।
দোকানদার আব্দুল খালেক বলেন, আমরা বাড়ি পাবনার আতাইকুলা আমি এখানে এসেছি কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে চাকু, ছুড়ি, চাপাতিসহ মাংস কাটার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বিক্রি করতে। ঈদের আর এক সাপ্তাহর মতো বাকি আছে। টুকটাক বেচাকেনা হচ্ছে এই আর কি।
পাবনার মহেন্দ্ররপুর বাস টার্মিনাল সংলগ্ন দীর্ঘ দিন যাবৎ কামারের কাজ করছেন ভোলা কামার, তিনি জানান সারাদিন কয়লা পুড়িয়ে লোহা নরম করে তৈরি করতে হয় ধারালো ছুরি, চাকু, চাপাতি, কাঁচি ইত্যাদি যন্ত্রপাতি। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আগের মতো আর কাজ আমাদের নেই৷ অনেকটা কাজ কমে গেছে দিনকাল খুবই কষ্ট যায়। তবুও আশা ছাড়িনি কাজ করে যাচ্ছি আমাদের তো এই ঈদ একটা বড় ধরনের আয়ের সিজন।
পাবনা সদর উপজেলার জালালপুর বাজারে দীর্ঘ ৪০ বছর কামারের কাজ করছেন মো: আয়নাল (৫০) তিনি বলেন, ঈদের বাজার উপলক্ষ্যে কাজের চাপ খুব। বেচা কেনা ভালো হচ্ছে। আয়নাল তার ১০ বছর বয়স থেকেই কামারের কাজ করে সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন।
পাবনা আতাইকুলা বহলবাড়িয়ে কামার পল্লী জেলার মধ্যে অন্যতম৷ ঈদ যতই এগিয়ে আসছে তাদের কর্ম ব্যস্ততা আরোও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে তারা বলেন, লোহা কয়লার দাম বৃদ্ধি এবং চাইনিজ যন্ত্রপাতি বাজার দখল করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তারা৷
ধারালো ছুরি বিক্রি করছে ১ হাজার থেকে ১২ শত টাকা, চাপাতি ৬ শত থেকে ৮ শত টাকা। এছাড়াও চাকু, বটি বিভিন্ন দামে বিক্রি করছেন তারা৷
তবে শ্রমিকদের দাবি সরকার যদি চয়না যন্ত্রপাতি আমদানিতে নজর দেয় বা বন্ধ করে তাহলে আমাদের দেশিয় যন্ত্রপাতি ভালো দামে বিক্রি করে আমাদের সংসার সুন্দরমত চালাতে পারবো।
সোহেল রানা, পাবনা:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন