প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানো: ড. ইউনূসের আহ্বান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
প্রবাসীদের অবদান ও সরকারের স্বীকৃতি
ড. ইউনূস জানান, ক্ষমতাচ্যুত সরকার রাষ্ট্রীয় কোষাগার ও ব্যাংক খালি করে গিয়েছিল। এই সংকটময় সময়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সই ছিল বাংলাদেশের টিকে থাকার একমাত্র ভরসা। তিনি বলেন, "আপনাদের (প্রবাসীদের) সমর্থন না পেলে, সাহায্য না পেলে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর আর সুযোগ ছিল না" ।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও প্রবাসীদের ভূমিকা
প্রধান উপদেষ্টা প্রবাসীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসা সম্প্রসারণের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, "জাতি গঠনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ আরও শক্তিশালী হওয়া উচিত" ।
বাংলাদেশ-জাপান সহযোগিতা
ড. ইউনূসের জাপান সফরের তৃতীয় দিনে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়:
-
অর্থনৈতিক সংস্কার ও জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৪১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ডেভেলপমেন্ট পলিসি লোন।
-
জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ডুয়াল-গেজ ডাবল-লেন রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ৬৪১ মিলিয়ন ডলারের ঋণ।
-
মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে ৪.২ মিলিয়ন ডলারের স্কলারশিপ অনুদান।
এই চুক্তিগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশের অবকাঠামো ও মানবসম্পদ উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতা আরও সুদৃঢ় হবে ।
প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "একজন নাগরিক হিসেবে আপনাদেরই রাষ্ট্র মেরামতের দায়িত্ব নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, দেশের পরিবর্তনের জন্য পুরো জাতি নয়, একজন মানুষের দাঁড়িয়ে যাওয়াই যথেষ্ট হতে পারে" ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন