জনগণের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠায় এনসিপির সংগ্রাম: সারজিস আলমের রাজনীতির নতুন দিগন্ত
জনগণের ক্ষমতা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আহ্বান
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌরশহরের চারমাথা মোড়ে আয়োজিত এক পথসভায় সারজিস আলম বলেন, "গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে জনগণ সব ক্ষমতার উৎস হলেও সর্বক্ষেত্রে তারা উপেক্ষিত। এই সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে চায় এনসিপি, যাতে জনগণের ভোটে নির্বাচিতরা শাসকের স্থলে শোষক হয়ে না ওঠে।"
তিনি আরও বলেন, "বিগত সময়গুলোতে এদেশে নেতার পেছনে জনগণের ধরনা দেওয়ার যে রীতি, তা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে থাকা উচিত নয়। এনসিপি এমন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে, যেখানে নেতারাই জনগণের পিছনে ঘুরে।"
উন্নয়ন বঞ্চনার বিরুদ্ধে এনসিপির অবস্থান
গাইবান্ধা জেলার উন্নয়ন বঞ্চনার প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, "এ জেলায় শিক্ষা, স্বাস্থ্যের উন্নয়নের পাশাপাশি অন্যতম দাবি হচ্ছে গোবিন্দগঞ্জে ইপিজেড বাস্তবায়ন। ইপিজেড বাস্তবায়ন হলে গাইবান্ধা জেলার ভাগ্য পরিবর্তন হতে পারে। তবে ইপিজেড হওয়ার জন্য সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকতে হবে।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, "উত্তরের কৃষককে সিন্ডিকেট করে জিম্মি করা হয়। কৃষকের ফসল রাখার মতো পর্যাপ্ত হিমাগার নেই। অল্প যা কিছু হিমাগার আছে, সেখানেও সিন্ডিকেট করে কৃষকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।"
রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তনের ডাক
সারজিস আলম বলেন, "একেকজন নেতাকে আমরা দেখেছি—যতটা না এলাকার উন্নয়নে মনোযোগ ছিল, তার চেয়ে বেশি মনোযোগ ছিল নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ি করে নিজের আখের গুছিয়ে নেওয়ায়, নিজের ক্রেডিট নেওয়ায়।"
তিনি আরও বলেন, "ভালো মানুষের হাতে ক্ষমতা থাকলে জনগণের জন্য ব্যবহার হবে।"
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও জনগণের অংশগ্রহণ
এনসিপি ভবিষ্যতে জনগণের চাওয়া-পাওয়ার ওপর ভিত্তি করে ইশতেহার ঘোষণা করবে বলে জানান সারজিস আলম। তিনি বলেন, "আমরা দেশের সব পর্যায়ের মানুষের দুঃখ, দুর্দশার কথা শুনছি। সারাদেশে দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেট করে খেটে খাওয়া এসব মানুষের অবস্থা নাভিশ্বাস করে তুলছে।"
তিনি আরও বলেন, "আগামী নির্বাচনে দল বা মার্কা দেখে ভোট না দিয়ে, যিনি জনগণের সহযোদ্ধা হয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করবেন, এমন মানুষকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার আহ্বান জানাই।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন