সর্বশেষ

পিএসজি বনাম ইন্টার মিলান: এক ফাইনালে ১০ রেকর্ড, ইউরোপের চূড়ায় পিএসজি

প্যারিস সেন্ট-জার্মেইন (পিএসজি) দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের স্বপ্ন দেখছিল। নেইমার, এমবাপ্পে, মেসির মতো তারকাদের নিয়ে গঠিত দল হয়েও তারা ইউরোপীয় শিরোপা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছিল। কিন্তু লুইস এনরিকের অধীনে একটি তরুণ, ক্ষুধার্ত ও সংগঠিত দল গঠন করে পিএসজি অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ করল।


ম্যাচের সংক্ষিপ্ত বিবরণ

মিউনিখের অলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত ফাইনালে পিএসজি শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে। ম্যাচের ১২তম মিনিটে ভিতিনহার পাস থেকে হাকিমি গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। ২০ মিনিটে দেজিরে দুয়ে দেম্বেলের ক্রসে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৩ মিনিটে দুয়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। এরপর ৭৩ মিনিটে কভারাত্সখেলিয়া এবং ৮৬ মিনিটে মায়ুলু গোল করে জয় নিশ্চিত করেন।


রেকর্ড ও পরিসংখ্যান

  • চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়: ৫-০
  • দেজিরে দুয়ে: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে জোড়া গোল ও একটি অ্যাসিস্ট করা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় (১৯ বছর ৩৬২ দিন)
  • পিএসজির প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা
  • এক ম্যাচে ৫টি গোল ৫ জন আলাদা খেলোয়াড়ের অ্যাসিস্টে
  • সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট (৩টি) একটি ফাইনাল ম্যাচে
  • কোচ লুইস এনরিকে: দুটি ক্লাবের হয়ে ট্রেবল জয়ী দ্বিতীয় কোচ
  • এক ফাইনালে সবচেয়ে বেশি কিশোর খেলোয়াড় অংশগ্রহণ
  • প্রথম ফাইনাল যেখানে প্রতিটি গোল দ্বিতীয়ার্ধে এসেছে
  • চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজির মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল
  • ফাইনালে সবচেয়ে বেশি গোল পার্থক্যে জয়লাভকারী ফরাসি ক্লাব


লুইস এনরিকের কৌশলগত নেতৃত্ব

লুইস এনরিকে পিএসজির কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর দলকে পুনর্গঠন করেন। তিনি তারকানির্ভর দল থেকে সরে এসে তরুণ ও প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের উপর ভরসা রাখেন। এই কৌশল পিএসজিকে ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বে পৌঁছে দেয়।


ফ্রান্সের জন্য গর্বের মুহূর্ত

১৯৯৩ সালে মার্সেইয়ের পর পিএসজি প্রথম ফরাসি ক্লাব হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় করে। এই জয় ফ্রান্সের ফুটবলের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত। প্যারিসে আইফেল টাওয়ার আলোকিত হয়েছিল প্রতিটি গোলের সঙ্গে, এবং সমর্থকরা উদযাপন করেন এই ঐতিহাসিক জয়।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন